চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের খুলশীতে পাচারকারী সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। সংস্থাটির দাবি, আটক ব্যক্তিরা ভারতে কিডনি ও লিভার পাচারকারী চক্রের সদস্য। খুলশী থানায় তাদের নামে মানব পাচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
খুলশীর ভারতীয় ভিসা অফিসের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আটক করার কথা শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে র্যাব-৭। ওই ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ আলী ডালিম, আতিকুর রহমান রনি ও আলম হোসেন।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ‘মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে একটি চক্র কিডনি ও লিভার ট্রান্সপ্লান্টের নামে ভারতে মানব পাচার করছে- বিভিন্ন মাধ্যমে এমন অভিযোগ পাচ্ছিলাম আমরা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আমরা তৎপর হই। একপর্যায়ে খুলশী থেকে চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে আটক করি।’
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রনি আন্তর্জাতিক কিডনি ও লিভার পাচারকারী দলের সদস্য। বাংলাদেশে এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ডালিম। ভারতে অবস্থান করে পাচারকারী চক্রের শাহিন নামে আরেকজন বাংলাদেশে রনি, আলমসহ অন্যদের মাধ্যমে কিডনি ও লিভারের ডোনার সংগ্রহ করে থাকেন; তাদের ভারতে পাচারের ব্যবস্থা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, ‘কিডনিপ্রতি ডোনারের সঙ্গে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় মৌখিক চুক্তি হতো। আর চক্রটি কিডনি বিক্রির জন্য ভারতীয় এজেন্টদের কাছ থেকে নিত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় কিডনি ডোনেট করার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। চক্রটি কিডনি বিক্রির জন্য এ পর্যন্ত ৪০ জনকে ভারতে পাঠিয়েছে।